বিশ্বশুক সেবাশ্রম সংঘ ও মিলন মঠ এর উদ‍্যোগে কম্বল বিতরণ

15th January 2021 1:03 pm বর্ধমান
বিশ্বশুক সেবাশ্রম সংঘ ও মিলন মঠ এর উদ‍্যোগে কম্বল বিতরণ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কাটোয়া ) :  শ্রী শ্রী ঠাকুর শুকদেব বাবা প্রতিষ্ঠিত বিশ্বশুক সেবাশ্রম সংঘ ও মিলন মঠের বিকিহাট আশ্রমে (কাটোয়া) পৌষ সংক্রান্তির বিকেলে  এলাকার শতাধিক দুঃস্থ মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আশ্রমের বিকিহাট আশ্রমের ইনচার্জ মহারাজ বীরেন ব্রহ্মচারী, উপস্হিত ছিলেন ভোলাগিরি ব্রহ্মচারী, অরুন ব্রহ্মচারী, কুনাল ব্রহ্মচারী সহ  বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তথা আশ্রমের কর্মী শিক্ষক হীরক বিশ্বাস বলেন-"শ্রী শ্রী ঠাকুর শুকদেব বাবার সেবাধর্মের একটি অনুষ্ঠান এই শীতবস্ত্র বিতরনের অনুষ্ঠান, এছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে বস্ত্র বিতরন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরন বিতরন, রক্তদান শিবির,দুস্থ ছাত্রাবাস পরিচালনা, নরনারায়ণ সেবা সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও আশ্রমে নিয়মিত দাতব্য চিকিৎসালয়ে সেবা পান এলাকার নর দেবতারা। আশ্রমের বিভিন্ন শাখায় নিয়মিত সেবাকার্য চলছে। আমাদের এই শীতবস্ত্র বিতরনের অনুষ্ঠানসহ সেবামুলক কাজ আরো আরো চলবে ধারাবাহিক ভাবে। ঠাকুরের বানী- "সর্বজীবে আত্মারূপে ভগবানকে দর্শন করো। " তাই ভগবানের সেবার নিমিত্ত সর্ব জীবের সেবার জন্য সদা সর্বদা নিয়োজিত বিশ্বশুক সেবাশ্রম সংঘ ও মিলন মঠের ভক্ত ও সন্যাসী ও আশ্রমিকবৃন্দ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।